চট্টগ্রামে মাদক মামলায় রোহিঙ্গা নাগরিকের ৬ বছরের জেল

চট্টগ্রাম •

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার মাদক মামলায় মো. সৈয়দ আলম নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিকের ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত সৈয়দ আলম কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা শরণার্থী ক্যাম্পের এ ব্লকের রুস্তম আলীর ছেলে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বলেন, মাদকের মামলায় সৈয়দ আলমকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। অনাদায়ে আরো ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে সৈয়দ আলম জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর নুর আহমেদ সড়কের দুই নম্বর মিউনিসিপ্যাল শপিং কমপ্লেক্স এলাকা থেকে এক হাজার ৬৫০টি ইয়াবাসহ সৈয়দ আলমকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। ঐ ঘটনায় অধিদফতরের চট্টগ্রাম মেট্রোর উপ-অঞ্চলের পরিদর্শক তপন কান্তি শর্মা কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর শুরু হওয়া গণহত্যা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী। এছাড়া বিগত তিন দশক ধরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশে এখন সেই সংখ্যা ১১ লাখের বেশি।

কক্সবাজার, টেকনাফ ও উখিয়ার ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয় এসব রোহিঙ্গাদের। এরই মধ্যে তাদের একটি অংশকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করেছে সরকার। সেখানে তাদের জন্য করা হয়েছে নিরাপদ আবাসনসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা।

এত সুবিধার পরেও ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়া, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ও সন্ত্রাসী নানা কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে রোহিঙ্গাদের অনেকে। গত এক বছরেরও বেশি সময়কালে নারী-পুরুষসহ অসংখ্য রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাঠানো হয়েছে জেলে। এরপরও কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না আশ্রিত এসব রোহিঙ্গাদের অনিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রম। তবে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।